চাঁদপুর নৌ-রুটে নিয়মিত চলাচলকারী ছোট বড় ২৪টি লঞ্চকে তার বার্তার মাধ্যমে, ও অন্য সকল নৌ-যানকে নদী পথে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-সীমানায় সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এছাড়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চাঁদপুরের চরঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য সকল সাইকেøান সেন্টার প্রস্তুত রেখেছে,বলে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে।
দেশের দক্ষীন অঞ্চলীয় বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন’ ক্রমশ উপকুলের দিকে প্রবল বেগে এগিয়ে আসতে থাকায় এবং এ’ তীব্রতা বয়াবহতা ব্যাপক আকার ধারন করার ফলে চাঁদপুর থেকে দেশের সকলস্থানের যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণ দিয়েছে চাঁদপুর বিআইডবিøউটিএ চাঁদপুরের কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে এ নির্দেশন দিয়েছেন, চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় হামুন এর জন্য ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছেন। আর এই ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের কারনে বন্দর প্রচন্ড বা সর্বোচ্চ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ার সম্বাবনা রয়েছে। এ কারনে ঝড়ের তীব্রতা ও বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার হতে ১১৭ কিলোমিটার এ’ বেশি হতে পারে। যার কারনে আগামীকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর হতে মধ্যরাতের ভেতর যে কোনো সময় ঝড়টি উপকুলে আঘাত হানার সম্বাবনা রয়েছে। প্রচন্ড গতির ঝড়টি বন্দরকে বামদিকে রেখে উপকুল অতিক্রম করবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট বড় সকল যাত্রীবাহি লঞ্চ ও নৌ-যান চলাচলে আতঙ্ক ছড়ানোর কারনে নৌ-যান মালিকরা তাদের নৌ-যান বন্ধ করে দিয়েছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপ-পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, প্রবল ঘূর্ণিঝড় “হামুন’এ’ কারণে চাঁদপুর নদী বন্দর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা চাঁদপুর ভায়া শরিয়তপুর, লক্ষীপুর, ইলিশা ঘাট (ভোলা)সহ সকলস্থানের নৌ-পথের সকল ধরনের লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকার নৌ-বিভাগের নির্দেশে। এছাড়া সকল নৌযানকে সতর্ক থেকে নদীতীরবর্তী এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়।